May 25, 2015

ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (VR)



আজকে আমি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি সম্পর্কে বিষদ আলোচনা করবো। কি এই ভার্চুয়াল রিয়ালিটি? ভার্চুয়াল রিয়ালিটি হচ্ছে একধরনের কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগৎ যার সাথে বিশেষ কিছু ডিভাইসের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করা
যায়। এইসব ডিভাইস সাধারণত অনুকরনবিদ্যা(simulation) প্রয়োগ করে কাজ করে থাকে।
ভার্চুয়াল রেয়ালিটির সংজ্ঞাটা এইরকমঃ
ভার্চুয়াল রেয়ালিটি(VR)  হলো কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত একধরনের সিস্টেম, যে সিস্টেমের সাহায্যে মডেলিং এবং অনুকরণবিদ্যা (simulation) এর সাহায্যে কৃত্রিম ত্রিমাত্রিক জগতের সাথে সংযোগ স্থাপন করা যায়।
 

কি ওয়ার্ডঃ
  • ভার্চুয়াল রিয়ালিটি (VR)
  • এর ব্যাবহার
  • VR গেমিং (Oculas rift)
  • গুগল কার্ডবোর্ড
ভার্চুয়াল রিয়ালিটি বিভিন্ন যন্ত্রাংশ ব্যাবহার করে থাকে। যেমন হেডসেট, গ্লাভস ইত্যাদি। ভার্চুয়াল রেয়ালিটি ব্যাবহার করার সময় ব্যাবহারকারীর মনে হবে সে ঐ 3D জগতেই আছে। ভার্চুয়াল রিয়ালিটি গেম খেললে একদম বাস্তব অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়। শুধু দেখা ও শোনার ক্ষেত্রেই না, ফোর্স ফীডব্যাক গ্লাভস পরে কৃত্রিম জগতের জিনিসপত্রও ধরা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে ট্রেডমিলের মত ডিভাইস দ্বারা হাটাও সম্ভব!

ভার্চুয়াল রেয়ালিটির ব্যপক ব্যাবহার লক্ষ করা যায়। বিভিন্ন বাণিজ্যিক কাজে এর সুদূরপ্রসারী  ফলদায়ী ব্যাবহার রয়েছে। যেমন গাড়ি নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। সেখানে কৃত্রিম ভাবে আসল গাড়ি বানানোর আগে ত্রিমাত্রিক গাড়ি বানানো হয়। তাও প্রতে্যকটা অংশ হাত দিয়ে পর্যবেক্ষন করা যায়। এতে গড়ির বাস্তব মডেল আগেই বানানোর প্রয়োজন পরেনা। ফলে খরচ বাচে। এছাড়াও কৃত্রিম পরিবেশে গাড়ি চালিয়ে টেস্ট  করা যায়! ত্রিমাত্রিক...তাই দুর্ঘটনার প্রশ্নই উঠে না। এছাড়া, ভার্চুয়াল রিয়ালিটির সাহায্যে সিমুলেটেড রোগির উপর সার্জারি করে ছাত্রদের উন্নত মেডিকেল শিক্ষা, সিমুলেটেড উরোজাহাজ চালিয়ে পাইলটদের নিরাপদ ভাবে প্ল্যান চালোনা শিক্ষা ছাড়াও আরও অনেক ব্যাবহার রয়েছে।
Oculas rift


সম্প্রতি ভার্চুয়াল রিয়ালিটি গেমিং কনসোল বের হয়েছে, যার নাম অকুলাস রিফট! যার দ্বারা গেম কম্পিউটার আর জয়প্যাডে সীমাবদ্ধ নয়। গেমের একেবারে ভেতরে ঢুকে খেলতে পারবেন। একেবারেই বাস্তব অভিজ্ঞতা।

এদিকে গুগল ভার্চুয়াল রিয়ালিটি এর নতুন বিস্ময় উন্মোচন করেছে। তারা কাগজ এবং ২টি লেন্স ব্যাবহার করেই কিভাবে স্মার্টফোন দিয়ে VR উপলব্ধি করা যায় সেই বেবস্থা করেছে, যার নাম গুগল কার্ডবোর্ড। এর জন্য অ্যাপ ষ্টোর গুলোতে বিভিন্ন VR অ্যাপ চাইলেই ডাউনলোড করা যায়। গুগল মুলত এইটা বিক্রি করেনা কিন্তু কিভাবে বানাতে হবে সেই নির্দেশনা দিয়েছে। এর জন্য আপনি আপনার পিজা বক্সটাই ব্যাবহার করতে পারেন! আপনি খুবই অল্প দামে নিজেই বানিয়ে ফেলতে পারেন মাত্র ১০$ এ। এছাড়া বিভিন্ন থার্ড পার্টি প্রতিষ্ঠান এইটা বানিয়ে থাকে, এক্ষেত্রে খরচ পরবে ২০-৩০$।

কিন্তু এর ক্ষতির মাত্রা কিন্তু অধিক, সামাজিক ভাবে যেমন এটি মানুষকে আত্মকেন্দ্রিক করে তোলে, তেমনি চোখ ও শ্রবণ শক্তিও এর দ্বারা হ্রাস পায়।
Load disqus comments

0 comments

Popular Posts

Powered by Blogger.
Powered by WhoWantStuffs - Widget