আপনারা সবাই ইউটিউব তো ঠিকই কমবেশি ব্যবহার করেন নিশ্চই। ভিডিও দেখার ও শেয়ার করার জন্য পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট। তিনজন প্রযুক্তি প্রণেতা মিলে তৈরি করেছেন এই ইউটিউব। তারা হলেন চেড হার্লি,
জাভেদ করিম, স্টিভ চেন।
জাভেদ করিম, স্টিভ চেন।
আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না যে জাভেদ করিম একজন বাংলাদেশী বংশদ্ভুত! তিনি ইউটিউবের একজন অন্যতম কোফাউন্ডার। তিনি ছোটবেলা থেকেই ক্রিয়েটিভ ছিলেন, আবিষ্কার করতে চাইতেন...যা বড় হয়ে তিনি করেও ফেললেন। তার তৈরি ইউটিউব আজ পৃথিবীর শীর্ষ জনপ্রিয় ওয়েব সাইট।
ইউটিউব
ছাড়াও আরো বেশ কিছু প্রকল্পে কাজ করেছেন জাভেদ করিম......পোর্টেবল
ত্রিমাত্রিক গ্রাফিক্স, সলভিং ড্যাড পাজল, থ্রিডি স্প্রিং সিমুলেশন,
রোবোটিক ওয়েবক্যাম, রেডিওসিটি ইনজিন, রে-ট্রেসার, লাইফ থ্রিডি, কোয়াক ২
মডেল ভিউয়ার সহ বেশ কিছু প্রজেক্টের উদ্ভাবকও জাভেদ করিম....
চলুন শুরু থেকে বলি, জাভেদ করিমের বাবার নাম নাইমুল করিম, তিনি হলেন একজন বাংলাদেশি বিজ্ঞানী এবং তার মায়ের নাম হলো ক্রিস্টিন করিম, যিনি একজন জার্মান বিজ্ঞানী এবং গবেষক। জাভেদ করিমের জন্ম ১৯৭৯ সালে জার্মানিতে, তার বেড়ে উঠাও জার্মানিতে। ১৯৯২ সালে তার বাবা স্বপরিবারে আমেরিকা পাড়ি দেন। তার পড়ালেখার শুরুও এখানেই।

এমনি করে একদিন স্টিভ হার্লির বাসায় তারা ঠিক করেন ইউটিউব নামক ভিডিও শেয়রিং সাইট তৈরি করবেন। কারন তখন ভিডিও শেয়ারিং এর কোন উল্লেখযোগ্য সাইট ছিলোনা।১৪/২/২০০৫ , তারা youtube.com ডোমেইনটি নিবন্ধন করলেন।তিন প্রকৌশলী কয়েক মাসের মধ্যে এর কাজও শেষ করে ফেললেন।
ইউটিউবের প্রথম ভিডিওটিও ছিলো জাভেদ করিমের। মি এট দ্যা জু (Me at the zoo) নামক ১৮ সেকেন্ডের ভিডিও। পরিক্ষা মুলক সম্প্রচারে সাইটি গ্রাহক সারা পেতে শুরু করলো, এবং এক পর্যায়ে স্কুইয়া ভ্যানচার নামক বিনিয়োগ সংস্থার বিনিয়োগে তারা ইউটিউবকে উন্মুক্ত করলেন। ২০০৬ সালে গুগল ডটকম ইউটিউবকে কিনে নিলো।
এভাবেই যাত্রা চলছে ইউটিবের...
২০০৮ সালে করিম তার নিজের ভ্যানচার ফান্ড গঠন করেন যার নাম ইউনিভারসিটি ভ্যানচার। এর লক্ষ্য ছিলো নব ইউনিভারসিটির ছাত্রদের তাদের প্রযুক্তি বিষয়ক আইডিয়া বাস্তবায়ন করা।
সত্যিই জাভেদ করিম আমাদের গর্ব :-)
0 comments